২০২১ সালে পদ্মা সেতু চালুর সম্ভাবনা নেই

রেল সংযোগসহ আরো যে কাজ বাকি আছে তাতে কমপক্ষে ১০ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তবে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম এর মতে ২০২১ সালে পদ্মা সেতু চালুর সম্ভাবনা নেই ৷শুরুর কথা: ১৯৯৮-১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করে এবং ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্তাবধায়ক সরকারের আমলে একনেক-এ পাশ হয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প ৷ পরবর্তিতে ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয় আওয়ামী লীগ সরকার ৷ পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থ সহায়তা দিতে এগিয়ে আসে বিশ্বব্যাংক এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তিও স্বাক্ষর করে সংস্থাটি ৷ জাপান সরকারের দাতা সংস্থা জাইকা ৪০ কোটি, এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক ৬৪ কোটি, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলারের সহায়তা দেবে বলেও চুক্তি স্বাক্ষর করে ৷ক্যানাডার এসএনসি লাভালিন কোম্পানি পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পায় ৷ কিন্তু ক্যানাডার আদালতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠলে দাতা সংস্থাগুলো প্রকল্প অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায় ৷ প্রায় পাঁচ বছর তদন্তের পর দুর্নীতির অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি ক্যানাডার আদালত ৷ এ অভিযোগকে আদালত ‘অনুমানভিত্তিক, গালগল্প ও গুজব’ বলে আখ্যায়িত করে ৷ বিশ্ব ব্যাংক ও অন্যান্য দাতা সংস্থা প্রকল্প থেকে সরে গেলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি হবে এমন ঘোষণা দেয় সরকার এবং এ কাজের দায়িত্ব পায় চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন কোম্পানি ৷ পরবর্তি সময়ে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হয় ৷ পরবর্তিতে নদীশাসন, নকশায় পরিবর্তন আনাসহ নানা কারণে আবারো প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা বলা হয় কিন্তু করোনার কারণে কাজের ধীরগতি প্রকল্পকে আবারো পিছিয়ে দিচ্ছে ৷প্রকল্পের ব্যয়: ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্তাবধায়ক সরকারের আমলে একনেক-এ পাশ হয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, যার ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার একশ’ ৬২ কোটি টাকা ৷ প্রকল্প অনুমোদনের পর ২০১১ সালে তা সংশোধন করে হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ৷ ২০১৬ সালে আরেক সংশোধনীতে মোট ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ৷ তবে সর্বশেষ হিসেবে খরচ ধরা হয়েছে ত্রিশ হাজার একশত ৯৩ কোটি টাকা ৷ নকশায় পরিবর্তনকে ব্যয় বাড়ার অন্যতম কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা ৷

রেল সংযোগসহ আরো যে কাজ বাকি আছে তাতে কমপক্ষে ১০ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তবে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম এর মতে ২০২১ সালে পদ্মা সেতু চালুর সম্ভাবনা নেই ৷শুরুর কথা: ১৯৯৮-১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করে এবং ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্তাবধায়ক সরকারের আমলে একনেক-এ পাশ হয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প ৷ পরবর্তিতে ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয় আওয়ামী লীগ সরকার ৷ পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থ সহায়তা দিতে এগিয়ে আসে বিশ্বব্যাংক এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তিও স্বাক্ষর করে সংস্থাটি ৷ জাপান সরকারের দাতা সংস্থা জাইকা ৪০ কোটি, এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক ৬৪ কোটি, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলারের সহায়তা দেবে বলেও চুক্তি স্বাক্ষর করে ৷ক্যানাডার এসএনসি লাভালিন কোম্পানি পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পায় ৷ কিন্তু ক্যানাডার আদালতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠলে দাতা সংস্থাগুলো প্রকল্প অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায় ৷ প্রায় পাঁচ বছর তদন্তের পর দুর্নীতির অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি ক্যানাডার আদালত ৷ এ অভিযোগকে আদালত ‘অনুমানভিত্তিক, গালগল্প ও গুজব’ বলে আখ্যায়িত করে ৷ বিশ্ব ব্যাংক ও অন্যান্য দাতা সংস্থা প্রকল্প থেকে সরে গেলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি হবে এমন ঘোষণা দেয় সরকার এবং এ কাজের দায়িত্ব পায় চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন কোম্পানি ৷ পরবর্তি সময়ে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হয় ৷ পরবর্তিতে নদীশাসন, নকশায় পরিবর্তন আনাসহ নানা কারণে আবারো প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা বলা হয় কিন্তু করোনার কারণে কাজের ধীরগতি প্রকল্পকে আবারো পিছিয়ে দিচ্ছে ৷প্রকল্পের ব্যয়: ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্তাবধায়ক সরকারের আমলে একনেক-এ পাশ হয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, যার ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার একশ’ ৬২ কোটি টাকা ৷ প্রকল্প অনুমোদনের পর ২০১১ সালে তা সংশোধন করে হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ৷ ২০১৬ সালে আরেক সংশোধনীতে মোট ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ৷ তবে সর্বশেষ হিসেবে খরচ ধরা হয়েছে ত্রিশ হাজার একশত ৯৩ কোটি টাকা ৷ নকশায় পরিবর্তনকে ব্যয় বাড়ার অন্যতম কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *