ঈদে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রাত থেকেই হাজার হাজার মানুষ মাওয়া ও পাটুরিয়া ফেরিঘাটে হাজির হতে থাকেন, তারা ঢাকা থেকে বিভিন্ন ছোট পরিবহন ছয়-সাতবার পরিবর্তন করে ও পায়ে হেঁটে বা ব্যক্তিগত পরিবহণে করে ফেরিঘাটে হাজির হয়েছেন। রাতেই হাজার হাজার মানুষের চাপে মাওয়া ফেরি চালু হয় । আর শনিবার দুপুর ১২টার পর চালু হয় পাটুরিয়ার ফেরি ৷ পাটুরিয়া ফেরিঘাটের মহাব্যবস্থাপক জানান, এখানকার ১৬টি ফেরিই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার জন্য চালু থাকবে ৷
ফেরিঘাটে সকাল থেকে হয়রানির অভিযোগ করেন সেখানে উপস্থিত বাড়ি ফেরা কয়েকজন ৷ তারা বলেন ফেরি বন্ধ থাকলেও ভিআইপি ও বিশেষ সুবিধায় অনেকের জন্যই ফেরি চলছিল ৷ যা সাধারণ মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে ৷ এক পর্যায়ে তাদের বেশ কয়েকবার ফেরিতে তুলে আবার নামিয়ে দেয়া হয় ৷
তাছাড়া দূরপাল্লার বা আন্তঃজেলা বাস না চললেও অন্যান্য এলাকার মানুষ মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, পিকআপ, জেলার মধ্যে চলাচলরত বাস ও ভ্যানে করে গ্রামের বাড়ি রওনা হয়েছেন , যা খুবই উদ্বেগের বিষয়।
এ মুহূর্তে আমরা সবাই করোনার ভারতীয় ধরন নিয়ে একটি আতঙ্কজনক সময় পার করছি। ইতিমধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করা করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন বাংলাদেশেও পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.এবিএম খুরশীদ আলম এ তথ্য জানান।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সম্প্রতি ভারতফেরত কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের ওই ভারতীয় ধরনটি শনাক্ত করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.নাসিমা সুলতানা দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সম্প্রতি বেনাপোল বন্দর হয়ে ভারতফেরত কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিন বিন্যাস বিশ্লেষণ করা হয়। স্যাম্পল অ্যানালাইসিস করার পর দুইজনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বি১.৬১৭.২পাওয়া যায়। দুজনের মধ্যে একজন নারী, একজন পুরুষ।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের পরীক্ষায় একই ফল পেয়েছে জানিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, “এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই মানুষকে খুবই বেশি সতর্ক থাকতে হবে।”