তিন বছরের মেয়েকে নুডুল্স খা্ওয়াচ্ছিলেন তার মা। এরই এক ফাঁকে অসাবাধনতাবশত মেয়ের মুখে চলে যায় আস্ত একটা সেফটিপিন।গলায় সেফটিপিন আটকে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । সেখানে সেফটিপিন অপসারণ সম্ভব না হওয়ায় তাকে আনা হয়েছে ঢাকায়।
অসুস্থ শিশুর নাম জিদনী। সে নাটোরের লালপুর উপজেলার বড় বাড্ডা এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
শফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে জিদনি খাবে না বলে বায়না ধরে। একপর্যায়ে শিশুটিকে মেঝেতে নামিয়ে খেলার ছলে নুডুলস খাওয়ায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে জিদনি বমি করতে শুরু করে এবং অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাঘা সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির পর এক্সরে করানো হয়। দেখা যায়, গলায় আটকে আছে আস্ত সেফটিপিন। দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গলার ভেতর খেকে সেফটিপিন বের করার মতো চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। সে কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে পরিবারের লোকজন জিদনিকে নিয়ে ঢাকায় রওয়ানা হয়েছেন।