অবশেষে ব্রয়লার মুরগিতে স্বস্তি ফিরেছে

অবশেষে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, চার বড় কোম্পানি দাম কমানোর পর ব্রয়লার মুরগির দাম নেমে এসেছে কেজি ২০০ টাকায়। রোজার মধ্যে তাতে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে। তবে বেশি দামে মুরগির বাচ্চা ও খাবার কিনে এখন লোকসান গোনার শঙ্কায় উদ্বিগ্ন ছোট খামারিরা।

ডিম ও মুরগির বাজারের নিয়ন্ত্রণ বড় কর্পোরেট কোম্পানিগুলো নিয়ে নিয়েছে, এমন কথা কিছুদিন ধরেই বলে আসছেন ছোট খামারিরা। এখন আবার লোকসানের ধাক্কায় ছোট খামারিরা আবার ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’র নামে বড় কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে বলে শঙ্কা করছেন তারা।

সম্প্রতি হঠাৎ করেই ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যায়। দেড়শ থেকে পৌনে দুইশ টাকার মধ্যে এই দর ঘোরাঘুরি করলেও তা এক লাফে আড়াইশ টাকা ছাড়িয়ে যায়। দাম বাড়ায় চাহিদা বেড়ে যায় ‘খোলা মুরগির মাংসের’। কারণ এসব মাংস পাওয়া যায়,১০০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম ওজনেও।

ক্রেতাদের অসন্তোষের মুখে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তখন তৎপর হয়। গত বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় চার কোম্পানি কাজী ফার্মস, আফতাব, প্যারাগন ও সিপি।

সেই বৈঠকে পাইকারিতে কেজি ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দিলেও কোম্পানিগুলো এখন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করছে বলে খুচরা বিক্রেতারা জানান।

একই দিন কারওয়ান বাজার, মিরপুরের কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ায় ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এক খামারি জানান, “পাশের খামার থেকে বিক্রি করল ১৫৫ টাকায়। এখন যারা বিক্রি করছে তাদের বাচ্চা কেনা আছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। এরা যদি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে মুরগি বিক্রি করে, তাহলে এরা কোনো রকম ক্যাশ পাবে, লাভ যদিও হবে না।

“কিন্তু প্রতিদিন তো ১০ থেকে ১৫ টাকা কমতেছে, ১০ থেকে ১৫ দিন পর কী হবে, তা তো বুঝতে পারতেছি না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *