প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে রোববার (১২ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিভাবে যাত্রা শুরু করেছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সার কারখানা ঘোড়াশাল-পলাশ ফার্টিলাইজার পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (জিপিএফপিএলসি)।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন পুরানো দুটি সার কারখানা ঘোড়াশালের ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড ও পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেডের তুলনায় নতুন কারখানায় উৎপাদন হবে তিনগুণ বেশি সার।
খাদ্য ঘাটতি পূরণসহ দেশের কৃষিখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর সরকার উদ্যোগ নেয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন, শক্তিসাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর একটি সার কারখানা নির্মাণের।
এরপর ২০২০ সালের ১০ মার্চ ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। যার দায়িত্ব পায় সিসি সেভেন নামে একটি চিনা এবং জাপানের মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুই প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ২০২৩-এর ডিসেম্বরে কারখানাটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
তবে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কাজ শেষ হওয়ায় দুইমাস আগেই পরীক্ষামূলক সার উৎপাদনে যায় কারখানাটি।
দুই কোম্পানি মিলে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ সার কারখানা
১৯৬৭ সালে কাজ শুরু হয় দেশের দ্বিতীয় সার কারখানা ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানার। পরে ১৯৭২ সালের দিকে এটি উৎপাদনে যায়। প্রথমদিকে এর উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। পরে উন্নয়নের মাধ্যমে এর বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন।
এদিকে একই এলাকায় পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি ১৯৮৫ সালে উৎপাদনে আসে। এটি ছিল চায়না-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ। কারখানাটির বার্ষিক উত্পাদন ক্ষমতা ছিল ৯৫ হাজার মেট্রিক টন।