দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান ( সহকারী জজ, ৫ম অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত, ঢাকা ) এ সংক্রান্ত নোটিশ দেন।
নোটিশ বলা হয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট আসনের নির্বাচনি এলাকা পরিদর্শনকালে দৃষ্টিগোচর হয় যে, সরকারী স্থাপনা তথা- ফ্লাইওভার, বাসা বাড়ির দেয়াল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান , বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন জায়গায় আপনার দলীয় নির্বাচনি প্রতীকে আপনার পক্ষে ভোট চেয়ে রঙ্গিন পোষ্টার লাগানো আছে এবং ব্যানার ঝুলানো আছে যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন ।
যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ ডিসেম্বর বিকাল ৫:০০ ঘটিকার মধ্যে আপনাকে উল্লেখিত স্থাপনাগুলো হতে রঙ্গীন পোষ্টার ও ব্যানারসমূহ অপসারণপূর্বক জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ প্রতিপালনের জন্য লিখিত নির্দেশ প্রদান করা হয়।
অদ্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকা সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে দৃষ্টিগোচর হয় যে আপনি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, বিক্রমপুর প্লাজা , আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সংলগ্ন দেয়ালসহ বিভিন্ন বাসাবাড়ির দেয়াল হতে রঙ্গিন পোষ্টার ও ব্যানার অপসারণ করেন নাই । ফলে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা , ২০০৮ এর ৭(১)এর (ক) (খ) ৭ (৩) ও ১২ নং অনুচ্ছেদের বিধান লংঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয় ।
এমতাবস্থায় ,উপর্যুক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নিকট প্রেরণ করা হবে না তৎমর্মে আগামী ১৭ডিসেম্বর( রবিবার) দুপুর ৩:০০ ঘটিকার মধ্যে অত্র কমিটির কার্যালয়, ৫ম অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত, ঢাকায় ব্যক্তিগতভাবে অথবা আপনার মনোনীত একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেয়া হলো ।
সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা জাতীয় পার্টি (এরশাদ) এর প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং জাতীয় সংসদের তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। আবু হোসেন ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর তিনি আওয়ামীগের রাজনীতি সাথে জড়িত হন। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসাবেও কাজ করেন। কিন্তু দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিস্কার করে। পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন। আর নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এরপর ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।